তখনো রৌদ্র দৃষ্টি কাঁড়েনি মৌন নদীর বাঁকে,
শূন্যতা জুড়ে ইচ্ছে জড়ালো দ্বীপ্ত মেঘের ফাঁকে।
ভেঙে গেলো ছাতের চূড়ায় কাকের উন্মত্ত সভা,
গগণকোণে ঊঁকি দিলো কিশোরী ক্ষণপ্রভা।
মৃত্তিকার নির্জলা স্বাধীনতায় কিশলয়ে বাঁজে জয়ধ্বনি,
পথভ্রষ্ট মাতাল সমীরণ ভরে আর্দ্র সুবাসের পত্তনি।
এক সময় ক্লান্ত অধর ছুঁয়ে যায় এক ফোটা অধীর সলিল,
বিস্বাদ দুপুরে নীলের ছায়া মাড়ায় উদ্ধত ধূসর মিছিল।
বিকেল হৃদয় ভিজে চলে নিবিড় ভালবাসায়,
গোধূলী বৃষ্টি একাকার সন্ধ্যার নিঃসীম মায়ায়।
নিশিতে পাওয়া নিয়ন বাতির নিশ্চুপ আঁকা আল্পনা,
চোখের তারায় নক্ষত্র পেয়ে জীবন্ত হয় কল্পনা।
জ্যোৎস্নার মৃদু শিহরণ ভাষাতে; পড়ন্ত রাত্রির সব হারাতে,
বুক ভরে তার যতটুকু প্রেম; শুধু বৃষ্টিকে কাছে চাওয়াতে।
কিন্তু মুখোমুখি নিঃশব্দে জ্যোৎস্না-বৃষ্টির বিচরণ,
নিরব কথোপোকথোনে শুধু প্রণয়ের আলোড়ন।
কৃষ্ণপক্ষে এক সময় টলমল চোখে ফিরে যায় চন্দ্র নির্ঝর,
আর সে পথের দিকে তাকিয়ে ঝরে যেতে থাকে বৃষ্টি নিরন্তর।
-রচনাকালঃ ২৯ মে, ২০০৮


0 মন্তব্য: