জীবনের ক্যানভাস
জুন ২৬, ২০১৯অদ্ভূত আধারে আত্মপ্রকাশের একটুখানি উন্মাদনা, মরীচিকার সতত উপহাসে ধৈর্য্যের ব্যর্থ বন্দনা। বিহঙ্গদের মোহনায় এক গাঙচিলের স্তব্ধতা,...
অদ্ভূত আধারে আত্মপ্রকাশের একটুখানি উন্মাদনা,
মরীচিকার সতত উপহাসে ধৈর্য্যের ব্যর্থ বন্দনা।
বিহঙ্গদের মোহনায় এক গাঙচিলের স্তব্ধতা,
অবলীলায় ছুটে চলা নদীর নিশ্চুপ নিবিড়তা।
সেই নিবিড়ে ঘরবোনে লোনা জলের ভালবাসা,
অতঃপর বৃষ্টিতে খুঁজে পায় মেঘ স্বপ্নের ভাষা।
রংধনুর সিড়িতে আকাশ ছোঁয় মনের সীমানা,
জানলার কাঁচে দৃষ্টি পথে কাঁচপোকাদের ব্যঞ্জনা।
দিগন্ত-প্রিয় তিথিদের পানে হাসিমুখে বিদায়ী সম্ভাষণ,
গোধুলি ডেকে যাওয়া শালুকের ঝিলে ফের নিমন্ত্রণ।
বালুকাবেলায় চাঁদের মসলিনে মিহি জোছনার কারসাজি,
যেখানে সুতোর পরতে জীবন ধরে জীবনের জন্য বাজি।
গভীর রাতের ঘুম পাড়ানী গানে বাড়ে শহরতলীর ক্লান্তি,
সুখ-দুখ কেনাবেচার হাটে ছড়িয়ে দেয় এক পসলা শান্তি।
নিঝুম দীঘির পাড় ঘেষে হারিয়ে যায় নৌকার ছায়া,
ঘুমন্ত শান্ত্রী শান্ত জলের বুকে খুঁজে পায় তিমির মায়া।
তারা খচিত করোমর্দনে সাগর-সিক্ত করে প্রণয়ের হাত,
বাতিঘর খুঁজে চলা নাবিকের চোখে জেগে থাকে রাত।
-রচনাকালঃ নভেম্বর, ২০০৫
চিত্রকল্পের প্রস্তাবক: আরণ্যক রাহাত
আমি আরণ্যক রাহাত। শৈবালের গায়ে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু জলের মত জীবনটাকে গুছিয়ে নেয়ার নিমিত্তে নিয়ত ছুটে চলতে চলতে দিন শেষে যখন নিজের জন্য কিছুটা সময় বেছে নেই তখন প্রিয় প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘুরে বেড়ানো, প্রিয় মানুষগুলোর হাসিমুখ আর কবিতা কড়চার মাঝে খুঁজে পাই নিজের ভালবাসার জায়গাটা। সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময়ের অঙ্কুরে প্রিয় কিছু অনুভূতি আর কিছু আনাড়ী শব্দগুচ্ছের বুননে সৃষ্ট আমার কবিতাগুলোকে নিয়ে এই অথৈ আন্তঃজাল সমুদ্রে ছোট্ট এক খন্ড দ্বীপের নামান্তর চিত্রকল্পের প্রস্তাবনা।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)


0 মন্তব্য: