মনবাঞ্ছার হেয়ালী

হোতাম যদি মুক্ত কন্ঠে আকাশ নীলের সুর, চাঁদ-সুর্যের নাও ভাসিয়ে হারাতাম বহুদুর। মেঘবরণে দিক ভোলা রঙ পান্থপাখীর ডানায়, সাঝের চোখে রোদ ছড়...

মনবাঞ্ছার হেয়ালী

হোতাম যদি মুক্ত কন্ঠে আকাশ নীলের সুর,
চাঁদ-সুর্যের নাও ভাসিয়ে হারাতাম বহুদুর।
মেঘবরণে দিক ভোলা রঙ পান্থপাখীর ডানায়,
সাঝের চোখে রোদ ছড়াতাম তেপান্তরের মানায়।

পাহাড় বাদক হোতাম যদি যজ্ঞ নাশী ঢলে,
পাষাণ দু’চোখ ভিজিয়ে দিতাম ঝরে পড়ার ছলে।
বন্য সাজে অঙ্গ ভরিয়ে বিভোর বৃষ্টি-ছায়ে,
প্রপাত পায়েল পড়িয়ে দিতাম পাথর কঠিন পায়ে।

পারতাম যদি শান্ত নদীর বিলাপ মুছে দিতে,
সাগর কূলে ঢেউ ফিরাতাম প্রণয়ের সঙ্গীতে।
সৈকত চোখে ফিরতাম ঠিক ডিঙি ভাসা পথ ধরে,
দুরদ্বীপের স্বপ্ন নিয়ে ঝিনুক কুড়ানো ভোরে।

কুঞ্জ হয়ে হারাতাম যদি শুকনো পাতার চাদরে,
ফুলের ধুমে ভাঙতো যে ঘুম মাধবীলতার আদরে।
কলির সুখে রোজ পাপড়ি হয়ে বৃক্ষ মায়া কাঁপিয়ে,
মিশে যেতাম মধুর আঁধারে নিসর্গ রঙ ছাপিয়ে।

0 মন্তব্য: