অবিসংবাদিত সমাপনী
জুলাই ১১, ২০১৯
জুলাই ১১, ২০১৯
            নিত্য হিসেবের ভৃত্য বনে আপন আপন খেলা। কি যতনে হায় সব ছেড়ে যায় একলা যাবার বেলা। ঘুড়ি-সুতোর বিত্ত-বিভব মরচে হাসির কড়ি। যাজক সেজে ব...
নিত্য হিসেবের ভৃত্য বনে 
আপন আপন খেলা। 
কি যতনে হায় সব ছেড়ে যায় 
একলা যাবার বেলা। 
ঘুড়ি-সুতোর বিত্ত-বিভব 
মরচে হাসির কড়ি। 
যাজক সেজে বেজেই চলে 
অন্তঃপুরের ঘড়ি। 
চোখের পানির বদৌলতে 
হারানোর ব্যাথা ভোলা। 
খুচরো স্মৃতির তল্পি গুটিয়ে 
নতুন বিপণী খোলা। 
কবে ভিজবে মাছরাঙাটা 
শিমুল ফুটবে কবে? 
ঘুম কাটিয়ে একটু দেখার 
কখনো কি সাধ হবে? 
দুধ-সাদা রঙ ছাতের নিচে 
রৌদ্র পাড়ের বিছানা, 
আকাশ রঙা শান্তিকুটির 
বদলাবে রোজ ঠিকানা। 
বেলা হবার তাড়া দিয়ে 
ঘুম না ভাঙাবে কেউ। 
অথৈ রাতে শরীর জুরে 
বয়ে যাবে নীল ঢেউ।
-রচনাকালঃ মে, ২০০০
 
 
আমি আরণ্যক রাহাত। শৈবালের গায়ে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু জলের মত জীবনটাকে গুছিয়ে নেয়ার নিমিত্তে নিয়ত ছুটে চলতে চলতে দিন শেষে যখন নিজের জন্য কিছুটা সময় বেছে নেই তখন প্রিয় প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘুরে বেড়ানো, প্রিয় মানুষগুলোর হাসিমুখ আর কবিতা কড়চার মাঝে খুঁজে পাই নিজের ভালবাসার জায়গাটা। সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময়ের অঙ্কুরে প্রিয় কিছু অনুভূতি আর কিছু আনাড়ী শব্দগুচ্ছের বুননে সৃষ্ট আমার কবিতাগুলোকে নিয়ে এই অথৈ আন্তঃজাল সমুদ্রে ছোট্ট এক খন্ড দ্বীপের নামান্তর চিত্রকল্পের প্রস্তাবনা।
 
 
0 মন্তব্য: