আজ দ্বীপ্ত মনের তৃপ্ত সাধে হারিয়ে যাবার পালা, দিগন্ত জুড়ে দৃষ্টি মুকুরে কুসুম রোদের মালা। পাখীদের লেখনে দূরদেশ ভ্রমণে আনমনে আঁকা ছবি, ম...

কোন এক প্রাপ্তির অবকাশে

আজ দ্বীপ্ত মনের তৃপ্ত সাধে হারিয়ে যাবার পালা,
দিগন্ত জুড়ে দৃষ্টি মুকুরে কুসুম রোদের মালা।
পাখীদের লেখনে দূরদেশ ভ্রমণে আনমনে আঁকা ছবি,
মেঘেদের মননে নিসর্গ গড়নে স্বপ্নীল বনে সবি।

নিরাশার ফীকে ফ্রেমে সহজ প্রাণের হাসি,
দিনরাত্রি বাঁজিয়ে যায় দিব্য সুখের বাঁশী।
আজ ভুলে যাবার সানকি ভরে ফিরে তাকাবার তাড়া,
স্মৃতির ময়ুর সুদিন যাপনে উল্লাসে পাগলপারা।

তাই কল্পলোকের চকমকিতে দিনবদলের সাঁজ,
চাওয়ার প্রতীক্ষা মাড়িয়ে রোজ প্রাপ্তির কারুকাজ।

কল্পদিনের উদাস হাওয়া। তেপান্তরে ধূসর ছাওয়া। গরাদ গলে স্বপ্নঝুড়ি। ভিজে চুপচুপ ফুলের কুঁড়ি। মেঘের পালকি চুপটি করে, দিক ভোলাদের নাম...

বৃষ্টি ভনিতা


কল্পদিনের উদাস হাওয়া।
তেপান্তরে ধূসর ছাওয়া।
গরাদ গলে স্বপ্নঝুড়ি।
ভিজে চুপচুপ ফুলের কুঁড়ি।

মেঘের পালকি চুপটি করে,
দিক ভোলাদের নামটি ধরে;
সাঁজালো দুপুর হুহুম্নাতে,
আহ্লাদী বধূর অপেক্ষাতে।

নীপবনের নৃত্যশালায়,
মন মন্দিরা তন্দ্রা বিলায়।
পান্থ ঘুঙুর পূরবী রাগে,
ঘুমিয়ে পড়ে বৃষ্টির আগে।

আয়নায় চেয়ে শ্রাবণ মেয়ে,
বৃষ্টি লুকায় লজ্জা পেয়ে।
তাই জলকেলিতে আলতা পায়ে,
গোধূলী ভাসায় ঝিলের গায়ে।

ঝাপসা কাঁচে স্বচ্ছ সুখে;
বৃষ্টিরঙের হাসিমুখে,
আঙুল তুলিতে রাতের ক্লান্তি,
চোখের আরশিতে ঘোর সংক্রান্তি।

ক্লান্ত নয়নে রাত জেগে, গুচ্ছ ভাবনার কালো মেঘে; ঘুম আসে না আর কিছুতেই। টিক টিক আওয়াজে, স্থানান্তরের ঘন্টা বাজে; অন্ধ রাত ভোর হয় নিরবেই। ...

অনুতাপ পোহানো রাত
ক্লান্ত নয়নে রাত জেগে,
গুচ্ছ ভাবনার কালো মেঘে;
ঘুম আসে না আর কিছুতেই।
টিক টিক আওয়াজে,
স্থানান্তরের ঘন্টা বাজে;
অন্ধ রাত ভোর হয় নিরবেই।
মন বুঝি কথা বলে,
স্মৃতির আলো জ্বেলে;
সুখ যাযাবর সাজে,
নীলান্তে ঢাক বাজে;
হৃদয় দোরে দুঃখ ভীড়ে অচিরেই।

ঠিক-বেঠিকের উষ্ণতাতে,
বরফ গলে দিনে-রাতে;
বোঝাবুঝির দুই মেরুতে।
ভুল সময়ে ভুলের সাড়ায়,
নির্ঘুম দিন বছরে গড়ায়;
নীল কাঁচের দেয়াল পেরুতে।
একবার যদি আসতো ফিরে;
টুকরো স্মৃতি হৃদয় নীড়ে,
পান্থ হাওয়ায় চেনা ধূলো;
শুধরে দিতো ভ্রান্তিগুলো,
স্বপ্নীল এক ভোরের শুরুতে।


রচনাকালঃ ২০০৪

জানলা পাড়ের বিকেল ঘুড়ি দিন গুটানোর তালে, গাল ফুলিয়ে দিচ্ছে হাওয়া দস্যি মেঘের পালে। পাখীর ঠোটে আনমনা রোদ মিছে শায়েরী খুঁজে, হটাৎ করেই ঘ...

দিন বরণে রাতের জড়তা
জানলা পাড়ের বিকেল ঘুড়ি দিন গুটানোর তালে,
গাল ফুলিয়ে দিচ্ছে হাওয়া দস্যি মেঘের পালে।
পাখীর ঠোটে আনমনা রোদ মিছে শায়েরী খুঁজে,
হটাৎ করেই ঘুমিয়ে গেলো আলগোছে চোখ বুজে।

রাত পড়িয়ে গাছের ডালে হাটি হাটি পায়ে,
লণ্ঠন-শিশু পড়লো ঢোলে ঋষি পাতার গায়ে।
ধ্যান ভাংতেই সাড়া হলো ঝিঝি পোকার ডাক,
ভালো লাগার আটখানাতে বাজলো নিশির ঢাক।

ঘুম কাতুরে জোনাক তখন জ্বলতে রাখে বাকি,
মেঘ সাগরে ডুব সাঁতারে চাঁদ কাঙালের ফাঁকি।
দীপ নেভা ঘোর পথের বাকে রূপনগরের ফেরী,
আরো একটা ভোর জমতে আরো কিছুবার দেরী।

হোতাম যদি মুক্ত কন্ঠে আকাশ নীলের সুর, চাঁদ-সুর্যের নাও ভাসিয়ে হারাতাম বহুদুর। মেঘবরণে দিক ভোলা রঙ পান্থপাখীর ডানায়, সাঝের চোখে রোদ ছড়...

মনবাঞ্ছার হেয়ালী

হোতাম যদি মুক্ত কন্ঠে আকাশ নীলের সুর,
চাঁদ-সুর্যের নাও ভাসিয়ে হারাতাম বহুদুর।
মেঘবরণে দিক ভোলা রঙ পান্থপাখীর ডানায়,
সাঝের চোখে রোদ ছড়াতাম তেপান্তরের মানায়।

পাহাড় বাদক হোতাম যদি যজ্ঞ নাশী ঢলে,
পাষাণ দু’চোখ ভিজিয়ে দিতাম ঝরে পড়ার ছলে।
বন্য সাজে অঙ্গ ভরিয়ে বিভোর বৃষ্টি-ছায়ে,
প্রপাত পায়েল পড়িয়ে দিতাম পাথর কঠিন পায়ে।

পারতাম যদি শান্ত নদীর বিলাপ মুছে দিতে,
সাগর কূলে ঢেউ ফিরাতাম প্রণয়ের সঙ্গীতে।
সৈকত চোখে ফিরতাম ঠিক ডিঙি ভাসা পথ ধরে,
দুরদ্বীপের স্বপ্ন নিয়ে ঝিনুক কুড়ানো ভোরে।

কুঞ্জ হয়ে হারাতাম যদি শুকনো পাতার চাদরে,
ফুলের ধুমে ভাঙতো যে ঘুম মাধবীলতার আদরে।
কলির সুখে রোজ পাপড়ি হয়ে বৃক্ষ মায়া কাঁপিয়ে,
মিশে যেতাম মধুর আঁধারে নিসর্গ রঙ ছাপিয়ে।

টুকরো সুখের আজলাতলে থাকবে না জল যেদিন, ফেলে আসা সেই মিষ্টি প্রণয় এ ঘর বুঝবে সেদিন। যদি স্মরণে থাকে, অনিমেষ শ্রাবণ জ্বলবে; ঝর...

অভিসারী একাকীত্ব










টুকরো সুখের আজলাতলে থাকবে না জল যেদিন,
ফেলে আসা সেই মিষ্টি প্রণয় এ ঘর বুঝবে সেদিন।
যদি স্মরণে থাকে,
অনিমেষ শ্রাবণ জ্বলবে;
ঝরে যাবে ধারা অঝরে,
অবুঝ সেই হেয়ালী আকাশ দৃষ্টি হারাবে মেঘের অধরে।

পড়ন্ত আধারে স্মৃতিগুলো মিলবে
অশ্রু হাওয়ার স্রোতে,
মনের ছায়া পরশ বুলাবে
অন্ধ মায়ার ক্ষতে।

এই মধুর লগ্ন,
তখন থাকবে মগ্ন;
বিস্মরণের ধ্যানে,
ভীড়বে এসে হাজারো স্রোত
নিরবতার বন্য টানে।
একাকীত্বের সুখ দেখাবে মুখ
এমনি এক দিনে,
অগণন প্রিয় দিন হবে রোজ বিলীন
ভালবাসার ঋণে।

-রচনাকালঃ ২০০৪